এম এ হকের বর্ণাঢ্য জীবনী

ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিদিন ডেস্ক:: এম এ হক। সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত এক মুখ। সকলের প্রিয় মুখ এম এ হক মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পার করেছেন এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ,সামাজিক ও পারিবারিক জীবন।

১৯৫৪ সালের ১লা জুলাই সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানবাজারের কুলুমা গ্রামে হয় এম এ হকের জন্ম। পুরো নাম মোহাম্মদ আব্দুল হক। বিএনপির প্রতিষ্টালগ্ন থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আপাদমস্তক তিনি একজন জাতীয়তাবাদী সৈনিক। ১৯৯৩ দায়িত্ব পান সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে। ১৯৯৬ সালে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও অর্পিত হয় তার কাঁধে। এই ছাড়া ২০০৪ সাল পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ।

২০০২-২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতাকালীন সময়ে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের কাছে অত্যন্ত ঘনিষ্টজন হয়ে উটেন এম এ হক। বিএনপির একজন নিবেদিত নেতা হিসেবে ২০০৩ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেন তিনি।পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পুনরায় মেয়র পদে নির্বাচন করে বিজয় লাভ করতে পারেননি হক।

আরও পড়ুন:: দেশে করোনাভাইরাসে আরও ৪২ জনের মৃত্যু

আওয়ামীলিগ ক্ষমতাকালীন সময় ২০১২ সালে সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতির পদ তার উপর অর্পিত হয়। এই সময় তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির কোন্দল মেঠাতে ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার মত গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছিলেন তিনি।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সবার কাছে ‘হক ভাই’ নামেই পরিচিতি পাওয়া এই প্রবীন রাজনীতিবিদ সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে ছিলেন নিবেদিন এক প্রান।নিজের নামে গড়ে তুলেন হক ফাউন্ডেশন থেকে মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করতেন সবসময়। এগিয়ে যেতেন মানুষের বিপদে-আপদে । এই জন্য সবার কাছে তিনি ছিলেন বেশ সমাদৃত।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। বড় ছেলে ব্যারিস্টার রিয়াশাত আজিম আদনান যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যারিস্টারি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।

প্রসঙ্গত, করোণাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টায় সিলেট নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায় বর্ণাঢ্য রাজনীতির অধিকারী এম এ হক।